Home » , , » মঙ্গলে জৈব পদার্থের প্রমাণ মিলেছিল ৩৪ বছর আগেই

মঙ্গলে জৈব পদার্থের প্রমাণ মিলেছিল ৩৪ বছর আগেই

Written By Unknown on Monday, January 10, 2011 | 9:42 PM

ঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। সম্প্রতি এ গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের স্বপক্ষে কিছু আলামত মিললেও এ কথা আরো ৩৪ বছর আগেই মানুষের কাছে পৌঁছুতে পারত। ১৯৭৬ সালের ২০ জুলাই নাসার মঙ্গলযান 'ভাইকিং-১ ল্যান্ডার' প্রথম মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে।

তারপর ভাইকিং-১ মঙ্গলের পশ্চিমাঞ্চলের কিছু মাটির নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর গবেষণায় এতে জৈব পদার্থের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। মঙ্গলেও জৈব পদার্থ থাকতে পারে_এমন দাবি সে সময় গবেষকরা নস্যাৎ করে দেন। কেননা, তাঁদের মনে হয়েছিল এ লালগ্রহ থেকে নিয়ে আসা মাটির নমুনার সঙ্গে পৃথিবীর পদার্থের হয়তো কোনো ভেজাল ঘটেছে। ফলে গবেষণাগারে পাওয়া জৈব পদার্থ আসলে এ পৃথিবীরই।
এবার নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৮ সালের আগস্টে নাসার একটি মঙ্গল অভিযানে 'ফিনিঙ্' নভোযান গ্রহটির আরেকটি স্থানে 'পারক্লোরেটস' নামে লবণ জাতীয় রাসায়নিক আবিষ্কার করে।
এই একই 'পারক্লোরেটস' (যা হাইড্রোজেন, অঙ্েিজন ও ক্লোরিনের সমন্বয়ে তৈরি) লবণ পৃথিবীর চিলির আটাকামা মরুভূমিতেও পাওয়া যায়। এটি পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক একটি অঞ্চল_যা পৃথিবীর ভূমিতেই মঙ্গলের কিছু এলাকার সবচেয়ে কাছাকাছি রূপ।
এর পরই সেই একই 'পারক্লোরেটস' রাসায়নিক পদার্থকে শনাক্ত করা হয়, যা ভাইকিংয়ের বিজ্ঞানীরা 'পৃথিবী থেকে ভেজাল ঢুকেছে' বলে মঙ্গলের সেই পদার্থকে বাতিল করে দেন। এ পরীক্ষায় সামান্য পরিমাণ পুষ্টি মেশানো পানি মঙ্গলের মাটির নমুনার ভেতরে ঢেলে দেওয়া হয়। এরপর এর মাটির উপরিস্থিত বায়ুকে নিবিড় পরীক্ষায় দেখা যায় যে, পানির ভেতরে বিদ্যমান পুষ্টি বিপাকীয় ক্রিয়ায় বায়ুতে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিপাক একমাত্র জৈব পদার্থের উপস্থিতিতেই সম্ভব। তবে এ গবেষণা এখনো নিশ্চিতভাবে প্রামাণিক নয়। সূত্র : দ্য মেইল

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. News 2 Blog 24 - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু