Home » , , » দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত নয়

দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত নয়

Written By Unknown on Sunday, January 9, 2011 | 1:39 AM

ণভোটের মাধ্যমে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হলে সেখানে নিশ্চিতভাবেই বড় ধরনের সহিংসতা ও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। ভোট শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে গত শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

বশির বলেন, 'প্রতিবেশীর ঘরে যুদ্ধ লাগলে আপনি, আমরাও শান্তিতে থাকতে পারব না।' এদিকে গতকালই বিদ্রোহীদের হামলায় দক্ষিণ সুদানের চার সেনা নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থাগুলো।
শুক্রবার সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতা নিয়ে নিজের সুরও পাল্টে ফেলেন বশির। তিনি বলেন, 'দক্ষিণ সুদান এখনো স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত নয়। তাদের ধারণা, উত্তর সুদান থেকে পৃথক হলেই সেখানকার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা তেমন নয়। দক্ষিণ সুদানের অনেক সমস্যা আছে। পৃথক রাষ্ট্র গড়ার মতো অবকাঠামো তাদের নেই।' পশ্চিমা পর্যবেক্ষকরা আগে থেকেই শান্তিপূর্ণ গণভোটের প্রধান বাধা হিসেবে মনে করছেন বশিরকে। কিন্তু গত সপ্তাহে দক্ষিণ সুদান সফরে গিয়ে বশির গণভোটের ফল মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তখন তিনি বলেন, সুদান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার আছে দক্ষিণের মানুষের।
শুক্রবার উত্তর সুদানে বসবাসকারী দক্ষিণ সুদানিদের ব্যাপারেও কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেন বশির। তিনি বলেন, 'স্বাধীন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে স্বাভাবিকভাবেই তারা আমার দেশে উত্তর সুদানিদের সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে না। আর যে দেশের বিরুদ্ধে তারা বঞ্চনার অভিযোগ করছে, সেই দেশে তারা থাকবেই বা কেন।' উত্তর সুদানে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ দক্ষিণ সুদানি বাস করে। বশির জানান, স্বাধীন হয়ে গেলে উত্তর সুদানের সরকারি চাকরি থেকেও বাদ দেওয়া হবে দক্ষিণ সুদানিদের। বর্তমানে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ২০ ভাগই দক্ষিণ সুদানের। বশির শুরু থেকেই দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করছেন। কারণ সুদানের ৭৫ ভাগ তেলখনিসহ বেশির ভাগ প্রাকৃতিক সম্পদই দক্ষিণ সুদানে অবস্থিত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব সম্পদের ভাগাভাগি নিয়ে গণভোট-পরবর্তী সময়ে দুই সুদানের মধ্যে সংঘাত শুরু হতে পারে।
এদিকে শান্তিপূর্ণভাবে গণভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিনিময়ে বশিরকে কিছু সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা। ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া ও দারফুরে গণহত্যার কারণে বর্তমানে সুদান যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী দেশ। দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অবরোধও আছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জন কেরি ইঙ্গিত দেন, শান্তিপূর্ণ গণভোটে সহযোগিতা করলে সুদানের অবরোধ শিথিল করা হবে এবং ওয়াশিংটনের সন্ত্রাসী তালিকা থেকেও দেশটিকে বাদ দেওয়া হবে। সূত্র : এএফপি।

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. News 2 Blog 24 - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু