মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র- মুসলমানদের সামনে দুই পথ, দেশত্যাগ অথবা মৃত্যু

Tuesday, February 25, 2014

কারনোট: মধ্য আফ্রিকান প্রজতন্ত্রের খ্রিস্টান জঙ্গিরা দেশটির একটি গির্জায় আশ্রয় গ্রহণকারী মুসলমানদের দেশত্যাগ অথবা মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।

উগ্র খ্রিস্টানদের গণহত্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কারনোটের একটি ক্যাথলিক গির্জায় প্রায় ৮০০ মুসলমান আশ্রয় নিয়েছেন। চলতি মাসের গোড়ার দিকে নিকটবর্তী গুয়েন গ্রামে এক গণহত্যায় অন্তত ৭০ জন মুসলমান নিহত হওয়ার পর তারা গির্জাটিতে আশ্রয় নেন।

এখন খ্রিস্টানরা বলছে, মুসলমানরা গির্জাটি থেকে বেরিয়ে দেশত্যাগ না করলে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেবে তারা।

গত ডিসেম্বর খ্রিস্টান জঙ্গিরা সুসংগঠিতভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা শুরু করে। প্রধানত মুসলমানদের নিয়ে গঠিত সেলেকা গেরিলারা ২০১৩ সালের মার্চ মাসে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের তৎকালীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। ডিসেম্বরে সেলেকা সরকার পদত্যাগ করার পরপরই মুসলমানদের ওপর গণহত্যা অভিযান শুরু হয়।

হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে এরইমধ্যে প্রায় ১০ লাখ মুসলমান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। উগ্র খ্রিস্টানদের হাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১,০০০ মানুষ। জাতিসংঘের অনুমোদন নিয়ে ডিসেম্বরেই ফ্রান্স দেশটিতে ১,৬০০ শান্তিরক্ষী মোতায়েন করলেও তারা দাঙ্গা বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে হীরকসহ আরো বেশ কিছু মূল্যবান খনিজ সম্পদ রয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফ্রান্স এসব সম্পদের লোভে দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছে; মুসলমানদেরকে দাঙ্গাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে নয়। সূত্র: আইআরআইবি

সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে ৩১শে মার্চ অনশন

Wednesday, February 12, 2014

দু’বছর পার হলেও উদ্ঘাটন হয়নি সাংবাদিক সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য। হত্যাকাণ্ডের বিচারে কোন প্রকার কিনারা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাংবাদিক সমাজ। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে চাওয়ার অনুরোধ করেছেন সাগর সারোয়ারের মা সালেহা মুনীর। অপরদিকে অপরাধী শনাক্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণে লজ্জা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
গতকাল সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে পরিবার, সাংবাদিক সমাজের পক্ষ প্রয়াত সাগর-রুনিকে স্মরণ করা হয়। প্রকৃত খুনিদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে ৩১শে মার্চ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাংবাদিক নেতারা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা দাবি করেন, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে একটি মহল সরকারকে বিভ্রান্ত করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ সাংবাদিকদের সকল সমস্যায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠন যোগ দেয়।

সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাগর-রুনির পরিবার অভিমান থেকে আজ বলছে আমরা তাদের ভুলে যাই। এতে সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার না করে সরকার তিন ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। প্রথমত, দেশের সাধারণ নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। দ্বিতীয়ত, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। তৃতীয়ত, জনগণ যাদের বেতন দেয় সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন, খুনিরা এতটাই প্রভাবশালী, এতটাই দক্ষ যে সরকার তাদের স্পর্শ করতে পারছে না। তিনি তথ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমের ওয়েজবোর্ড নিয়ে যে অসত্য তথ্য দিয়েছেন তার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এ বিষয় নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিক নেতারা দেখা করবেন। বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া, জেলে থাকা সাংবাদিকদের মুক্তি ও সাংবাদিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ঘোষণাও দেন তিনি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে সাংবাদিকদের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। ডিইউজে এক অংশের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ বলেন, প্রশাসন চাইলে খুনিদের সহজেই ধরতে পারে। বিভিন্ন ঘটনায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের ব্যর্থতা মানে সরকারের ব্যর্থতা। বিএফইউজে একাংশের মহাসচিব ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, সাগর-রুনির বিচার নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে একটা ভয় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের মাঝে যে ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছে তা যেন কোন বেঈমানির বিনিময়ে বিক্রি না হয়ে যায়। কেউ যেন সরাকরের কাছ থেকে সুবিধার বিনিময়ে বিপথগামী না হয়।

বিএফইউজে একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ঘাটনে ব্যর্থতা স্বীকার করেছে। ফলে তারা কিভাবে চাকরিতে বহাল থাকেন? এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা রকম ছলচাতুরি ও প্রতারণা চলছে। বিচারহীনতার কারণে সাগরের মা সাংবাদিকদের যে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তা থেকে কেউ মুক্তি পাবে না বলে  মন্তব্য করেন তিনি। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজে মহাসচিব কুদ্দুস আফ্রাদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।

এদিকে সাগর-রুনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় সাগর সারোয়ারের মা সালেহা মুনীর হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বললেন, আন্দোলন থামিও না, যত সাংবাদিক মারা গেছে, সবার বিচারের দাবিতে তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাও। আমি বিচার চাই, আমার মেঘের জন্য আমি বিচার চাই। তিনি বলেন, সরকারের বহু আশ্বাসের পরেও এ হত্যাকাণ্ডের কোন কিনারা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া ধামাচাপা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী বলেন, সাগর-রুনির হত্যার বিচার নিয়ে ইতিপূর্বে সরকার ও স্বরাষ্টমন্ত্রী জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল। এখন আমরা এটা হতে দেবো না। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনি বলেছিলেন দারোয়ানকে ধরলেই হত্যাকারীদের কূল-কিনারা পাওয়া যাবে। আপনি তা করতে পারেননি। এর মানে কি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কি তাহলে আপনিও আছেন? দুর্নীতি করার কারণে এবার মন্ত্রিসভায় আপনি ঠাঁই পাননি। স্মরণসভায় ৩১শে মার্চ ডিআরইউর সামনে দিনব্যাপী প্রতীকী অনশনের কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, কেউ পাশে থাক আর না থাক, সাগর-রুনির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ডিআরইউ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। ৩১শে মার্চের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কাফনের কাপড় পরে মিছিল, আমরণ অনশন ও রাজপথ অবরোধের মতো কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো। এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে সাগর-রুনিকে স্মরণ করার পর শেষ হয় এ স্মরণসভা। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-র সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)-র সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরসালিন নোমানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এদিকে দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে সাগর-রুনির কবরে ফুল দিয়ে তাদের স্মরণ করেন স্বজনরা।

সাক্ষাৎকার- মঞ্জুরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে by ব্যারিস্টার আবুল মনসুর

Tuesday, February 11, 2014

‘আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি বিচারের জন্যও তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়নি। আমি চাই সত্য বেরিয়ে আসুক। ইতিহাসের এসব শূন্যস্থান বা ক্ষতগুলো সম্পর্কে সত্যি কথা দেশবাসীর জানার অধিকার রয়েছে।’
১৯৯৫ সালের মার্চে ভোরের কাগজ-এর সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথাগুলো বলেছেন ব্যারিস্টার আবুল মনসুর। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম সামরিক বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকাকালে নিহত মেজর জেনারেল এম আবুল মঞ্জুরের বড় ভাই তিনি। ভাইকে হত্যার বিচার চেয়ে ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ওই সময় রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় ব্যারিস্টার মনসুরের সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন ভোরের কাগজ-এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সানাউল্লাহ। ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ প্রকাশিত সাক্ষাৎকারটি পাঠক চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রথম আলোতে ছাপা হলো।

ভোরের কাগজ  মেজর জেনারেল এম আবুল মঞ্জুর নিহত হয়েছিলেন ১৯৮১ সালের ১ জুন। প্রায় ১৪ বছর পর মামলা করলেন কেন?
আবুল মনসুর  আসলে আমি সব সময় চেষ্টা করেছি মামলা করার জন্য। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, তথ্য-প্রমাণাদি আমার কাছে ছিল না। এমনকি জেনারেল মঞ্জুরের ময়নাতদন্ত রিপোর্টও খুঁজে পাইনি। গত মাসে ময়নাতদন্ত রিপোর্টটি পাওয়ার পরপরই আমি পাঁচলাইশ থানায় এফআইআর করেছি। আমি চাই সত্য বেরিয়ে আসুক। আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক। আইন অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হোক।
কাগজ  কিন্তু এ রকম একটা কথা শোনা যাচ্ছে যে, আপনি মামলা করেছেন সরকারের পরামর্শে বা অন্য কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে?
মনসুর  এটা সত্যি নয়। আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি বিচারের জন্যও তাঁকে বাঁচিয়ে রাখা হয়নি। জেনারেল মঞ্জুর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য তিনি লড়াই করেছেন। কিন্তু এত বছরেও তাঁর হত্যার মতো একটি জঘন্য ঘটনার তদন্ত বা বিচার হয়নি। আমি বা আমাদের পরিবার সব সময়ই এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছি। এ নিয়ে আমার নিজের কোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ বা লক্ষ্য নেই।
কাগজ  কিন্তু এ রকম একটি ধারণা সহজেই করা যায় যে, মঞ্জুর হত্যার বিচার জিয়া হত্যার বিচারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
মনসুর  দেখুন, আমি বা আমাদের পরিবারও চায় জিয়া হত্যারও সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার হোক। মঞ্জুর হত্যার বিচার হলে অনেক সত্যি কথা বেরিয়ে আসবে। জিয়া হত্যার জন্য আমার ভাইকে দায়ী করা হয়ে থাকে। এটাও সত্যি কি না সেটা বের হয়ে আসবে। কারণ সে সময় বিচারের কোনো সুযোগ না দিয়ে জেনারেল মঞ্জুর এবং আরও কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিল। তড়িঘড়ি করে চট্টগ্রাম কারাগারের অভ্যন্তরে জেনারেল কোর্ট মার্শালে গোপন বিচার করে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসারের ফাঁসি হয়েছিল।
সে সময় সরকার যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল আজ তথ্য-প্রমাণে দেখা যাচ্ছে, সেটি সত্যি কথা বলেনি। তাই আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত হোক। সঠিক ইতিহাস বেরিয়ে আসুক। ইতিহাসের এসব শূন্যস্থান বা ক্ষতগুলো সম্পর্কে সত্যি কথা দেশবাসীর জানার অধিকার রয়েছে।
কাগজ  কিন্তু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড তো আরও হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা, হায়দার...
মনসুর  খালেদ মোশাররফ ব্যক্তিগতভাবে আমার বন্ধু ছিল। সে সত্যিকার অর্থে একজন দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী ছিল। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান ছিল সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তার হত্যার বিচার আজও হয়নি। বিচার হয়নি কর্নেল হুদা, হায়দার এদের হত্যার। হুদা মুক্তিযুদ্ধে জেনারেল মঞ্জুরের একজন সঙ্গী ছিলেন। তাঁদের সবার অবদান, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গেও আমার ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাঁর হত্যার ব্যাপারে জেনারেল কোর্ট মার্শালে যে গোপন বিচার হয়েছিল, সে সম্পর্কে এখনো দেশবাসী সন্দেহমুক্ত নন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর এবং তাঁর পরিবারবর্গের হত্যার ব্যাপারেও কোনো সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার আজও হলো না।
আসলে সব হত্যাকাণ্ডেরই বিচার হওয়া উচিত। জাতি হিসেবে আমাদের এর জন্য দাবি করা উচিত, ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ বিচার না হওয়ায় অনেকেই হত্যা করে পার পেয়ে গেছে। যা পরবর্তী সময়ে অন্যদেরও এ ধরনের অপকর্মে উৎসাহিত করেছে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এবং প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসার জন্য এসব ঘটনার বিচার হওয়া প্রয়োজন।
কাগজ  এ মামলার ক্ষেত্রে পত্রপত্রিকার লেখালেখি হচ্ছে। নানা কথা শোনা যাচ্ছে।
মনসুর  হ্যাঁ, পত্রপত্রিকায় অনেক কথাই বলা হচ্ছে। কোনোটা সত্য, কোনোটা মিথ্যা। নানা রকম তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। আমি মিডিয়ার কাছে অনুরোধ জানাব, তারা যাতে এমন কিছু না করে যাতে মামলার কোনো ক্ষতি হয়। আমাদের সবার চেষ্টা করা প্রয়োজন যাতে সত্য প্রকাশিত হয়। প্রকৃত দোষীদের বিচার হয়।

ভাড়াটিয়া ঘাতকরাই খুন করে সোহানকে by ওয়েছ খছরু

Monday, January 27, 2014

ভাড়াটিয়া খুনিরাই কুয়ারপাড়ের ভিআইপি রুটে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে কলেজ ছাত্র সোহান ইসলামকে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একই এলাকার পিচ্চি শাকিল, টাইগার জামাল, আমির,
টিপু ও গুলজারের ছোটভাই রিপন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে খুন করে। আর এই খুনের খবর জানতো লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মনির। আগে থেকেই তার হাতে গুলজার ও কামাল পক্ষের লোকজন মোটা অঙ্কের টাকা তুলে দিয়েছিল এবং সুর চিৎকার শুনলেও পুলিশ যেন নীরব থাকে সে ব্যাপারে বলেও দেয়া হয়েছিল। গতকাল নিহত কলেজ ছাত্র সোহান ইসলামের পরিবারের একাধিক সদস্য এসব কথা বলছিলেন আর বিলাপ করছিলেন। এ ঘটনার পর নির্বাক হয়ে গেছে খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের বোন নুশরাত জাহান স্বর্ণা। সোহানের বোন স্বর্ণা সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের অগ্রগামী সরকারি কিন্ডার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। শনিবার বিকাল ৩টায় স্বর্ণাকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফিরছিল সোহান। কুয়ারপাড় পয়েন্টে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পিচ্ছি শাকিল, টিপু, আমির, টাইগার জামাল ও রিপন সোহানের মোটরসাইকেল থামায়। এ সময় তারা সোহানের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে মারধর করতে থাকে। এ দৃশ্য দেখে শিশু স্বর্ণা পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে এক পুলিশ সদস্যের পায়ে ধরে ভাইকে বাঁচানোর আকুতি জানায়। এ সময় এক পুলিশ সদস্য তাকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন। এই ফাঁকে খুনিরা নির্বিঘ্নে এলোপাতাড়ি কোপায় সোহানের শরীর। তার উরু ও পায়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করা হয়। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় সোহানের। ঘটনার নেপথ্যে কাহিনীও তুচ্ছ। শুক্রবার বিকালে সোহানের সঙ্গে একই এলাকার কামালের কথাকাটাকাটি পরে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় কামাল আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর কামাল ও তার পক্ষের লোকজন বলে বেড়াতো তারা বদলা নেবে। নিহতের পরিবার জানান, তারা সোহানকে হত্যা করে এর বদলা নিয়েছে।

পুলিশের পা ধরেও ভাইকে বাঁচাতে পারলো না স্বর্ণা

Sunday, January 26, 2014

সোহানকে যখন কোপাচ্ছিল তখন ফাঁড়ির ভেতরে ছোট বোন স্বর্ণা পুলিশের পা ধরে ভাইকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে ছুটে আসেনি। কিছুক্ষণ পর এলো পুলিশ।
কিন্তু তার আগেই বড় ভাই সোহানকে নির্মমভাবে কোপালো ঘাতকরা। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করলো কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলো কলেজছাত্র সোহান। এরপর ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল বিকালে সিলেট নগরীর ভিআইপি রোডে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ইসলাম সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর সাহানা বেগম সানুর দ্বিতীয় ছেলে। এ ঘটনায় নগরীর কুয়ারপাড় ও খুলিয়াপাড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত সোহান ইসলাম (১৮) সিলেট মদন মোহন কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং খুলিয়াপাড়া ৫২-৪ নম্বর বাসার তাজুল ইসলামের ও সাবেক কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর পুত্র। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এলাকার লোকদের হাতে সে খুন হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কামাল আহমদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হয়। শুক্রবার সোহানের লোকজন কামালকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। কামাল বর্তমানে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলাও হয়েছে। রোববার বিকালে নগরীর জিন্দাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ছোট বোন নুশরাত জাহান স্বর্ণাকে নিয়ে বাসায় ফিরছিল সোহান। লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কাছে পৌঁছলে প্রতিপক্ষ গুলজার ও কামালের  লোকজন তার গতিরোধ করে প্রথমে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। ভাইয়ের উপর হামলার ঘটনার পর স্বর্ণা দৌড়ে ঢোকে পার্শ্ববর্তী লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে। এ সময় সে পুলিশের কাছে ভাইকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানায়। তবে, ঘটনা বুঝতে না পেরে পুলিশ কর্মকর্তারা কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। এক পর্যায়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের চিৎকারে পুলিশ ফাঁড়ির বাইরে গিয়ে ধাওয়া করলে খুনিরা গলি দিয়ে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী গুলজার আহমদের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন হামলা চালিয়ে তাকে খুন করে বলে নিহতের পরিবার দাবি করেছে। নিহতের মা সাবেক কাউন্সিলর সাহানারা বেগম সানু হাসপাতালে ছেলের মৃতদেহ ধরে বিলাপ করছিলেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, গুলজার ও কামালের লোকজন তার ছেলেকে খুন করেছে। তিনি ঘাতকদের ফাঁসি দাবি করেন। পিতা তাজুল ইসলাম ছেলের লাশ দেখে নির্বাক হয়ে গেছেন। তিনি জানান, ওরা এতটা ভয়ংকর কাজ করতে পারে জানা ছিল না। তিনি বলেন, পুলিশ আরও আগে বেরিয়ে এলে হয়তো ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব হতো। ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১০-১২ জন লোক মোটরসাইকেল থামিয়ে সোহানের ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে দা-লাঠি সহ ধারালো অস্ত্র ছিল।
 ঘটনার পরপরই তারা খুলিয়াপাড়া ও বিলপাড় এলাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে, লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মনির জানিয়েছেন, ঘটনা চলাকালেই পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ধাওয়া করে। এ সময় ঘাতকরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সোহানকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

‘যৌথবাহিনীর অভিযানে টার্গেট কিলিং চলছে’

Thursday, December 26, 2013

যৌথবাহিনীর অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে যৌথবাহিনীর অভিযানের আড়ালে আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীকে গায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে হত্যা করেছে। বেশির ভাগ অভিযান চালানো হচ্ছে রাতের বেলায়। চলছে টার্গেট কিলিং। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সহিংসতার প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে আমরা দেশের নিরপেক্ষ সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে যাচ্ছি। আমাদের অনেকেই ইতিমধ্যে ব্যাপক সহিংসতার শিকার নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, সাতক্ষীরা, নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলায় তথ্য সংগ্রহ করতে গেছেন। তাদের পাঠানো রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা তথ্য-প্রমাণসহ উপস্থাপন করবো। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এজে মোহাম্মদ আলী, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, মহাসচিব শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান।

হানাহানির রাজনীতির বিরুদ্ধেও শক্তিশালী বার্তা- বিশ্বজিৎ হত্যার বিচারের রায়

Saturday, December 21, 2013

বিশ্বজিৎ দাসের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা বোধের অসহায়ত্বই প্রকট হয়ে উঠেছিল। অবশেষে বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের বিচারের রায় ঘোষিত হওয়ায় হত্যার বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয় ঘোষিত হয়েছে।
রায়ে আদালত যথার্থই বলেছেন, ‘এটা (হত্যা) মানবতা ও নৈতিকতার কোনো স্তরেই পড়ে না। নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ও অহেতুক রক্তপাত সমর্থনযোগ্য নয়।’ বাংলাদেশে জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে হানাহানির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একে বার্তা হিসেবেও পাঠ করা যায়।
হত্যা মামালার রায় শুনতে আদালতে বিশ্বজিতের সহোদর । ছবি-শাহীন কাওসার, মানবজমিন।
এই রায়ের মাধ্যমে আসামিরা শাস্তি পেয়েছেন, বিশ্বজিতের পরিবার ও ন্যায়প্রত্যাশী দেশবাসী সান্ত্বনা পেয়েছে। বিশ্বজিতের মা গ্রেপ্তার না হওয়া আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন। আসামিপক্ষ নিশ্চিতভাবে উচ্চ আদালতে আপিল করবে। ইতিমধ্যে আদালত প্রাঙ্গণেই আসামিদের কেউ কেউ ‘কিছু হইব না’ বলে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছেন। তবে কি এখনো তাঁরা কারও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া পাচ্ছেন? পাশাপাশি এ কথাও আসবে, বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ডের সময় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা কেন ছাড় পাবে?
আপিল নিষ্পত্তির পর আসবে রায় কার্যকর করার প্রশ্ন। তার আগে অন্তত এটুকু বলা যায়, এই রায় রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধেও শক্ত হুঁশিয়ারি। এর আলোকে নারায়ণগঞ্জের কিশোর ত্বকীসহ সব হত্যাকাণ্ডের আশু বিচারও প্রত্যাশিত। বিচারাধীন এবং বিচারের প্রক্রিয়া থেকে দায়মুক্তি পাওয়া নৃশংস খুনিদেরও অনুরূপভাবে দণ্ডিত হওয়া দরকার। নইলে চুনোপুঁটিদের শাস্তি হয়, রাঘববোয়ালেরা রেহাই পান; এমন ধারণা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।
একটি খুনের মামলায় আটজনের ফাঁসি ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড আলোড়ন সৃষ্টিকারী দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে সরকার-সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় বিচার হওয়া ইতিবাচক ঘটনা। তবে অন্য সব হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের বেলায়ও সরকার একই রকম সহায়ক থাকে, তবেই বলা যাবে সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জীবনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
আদালত তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু মনে রাখা দরকার, বিশ্বজিতের খুনিরা খুনি হয়ে জন্মাননি। এই সমাজ ও রাজনীতি তাঁদের তৈরি করেছে। তাঁরা সহিংস রাজনীতিরও হাতিয়ার। হাতিয়ারের বিচার হলেও, তাঁদের ব্যবহারকারী হাতের বিচার না হওয়া পর্যন্ত হত্যার রাজনীতি বন্ধের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করি।
 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. News 2 Blog 24 - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু