আরেক পৃথিবী!

Tuesday, December 6, 2011

বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আমাদের সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মতোই নতুন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহটি। গ্রহটিতে পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে নাসা। দি এস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে নতুন এই গ্রহের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হবে।

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলেছে, নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে। গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে কেপলার-২২বি। এটি পৃথিবীর চেয়ে ২ দশমিক ৪ গুণ বড়। গ্রহটি সূর্যসদৃশ একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। আমাদের সৌরজগতের বাইরের ৫০০টি গ্রহের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ছোট। গ্রহটিতে পানি থাকার সম্ভাবনা থাকায় কেপলার ২২বি গ্রহটিই এখন পৃথিবীর পর প্রাণের সম্ভাবনাময় গ্রহ—বলা যেতে পারে আরেক পৃথিবী। রয়টার্স।

বলয় রহস্য by জুবায়ের হোসেন

Thursday, February 10, 2011

নির নাম শুনলেই মাথায় আসে গ্রহটাকে ঘিরে থাকা বলয়ের ছবি। সৌরজগতের বৃহস্পতি, ইউরেনাস ও নেপচুনেরও এমন বলয় আছে, তবে এরা শনির বলয়ের কাছে পাত্তা পায় না। কেননা শনির বলয়টা দৃশ্যমান ও দৃষ্টিনন্দন। কিন্তু এ সৌন্দর্যের পেছনের কাহিনী একেবারে নিষ্পাপ নয়। বলয় সৃষ্টির মূলে রয়েছে এক 'মহাজাগতিক হত্যাকাণ্ড'! মার্কিন গবেষকরা জানালেন, শনির এ বলয় তৈরির জন্য বহুকাল আগে ধ্বংস হয়েছিল অতিকায় এক উপগ্রহ।

এক সময় ভাবা হতো, শনি গ্রহের দুটি উপগ্রহ ধাক্কা লেগে কিংবা ধূমকেতুর আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ছড়িয়ে যায়। ধীরে ধীরে ওই কণাগুলো গ্রহটির চারদিকে জায়গা মতো জেঁকে বসে। তবে নাসার অভিযানে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত ভিন্ন ধারণার ইঙ্গিত দেয়। কেননা বলয়টির ৯৫ শতাংশই বরফ। যদি উপগ্রহের খণ্ডে বলয় তৈরি হতো তবে এতে বরফের সঙ্গে অনেক বেশি পাথরকণা থাকার কথা। যুক্তরাষ্ট্রের সাউথওয়েস্ট গবেষণা সংস্থার তৈরি মডেল জানাল আরো চমকপ্রদ এ তথ্য। বলয় তৈরির সময় শনি সবে জমাট বাঁধতে শুর করেছিল। চারপাশ ঘিরে ছিল হাইড্রোজেন গ্যাসের মেঘ। এখনকার সবচেয়ে বড় চাঁদ টাইটানের চেয়েও বড় উপগ্রহ ছিল শনির। ভালোভাবে কক্ষপথে থিতু হওয়ার আগেই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি খাটিয়ে একটু একটু করে ওই উপগ্রহের বায়ুমণ্ডল থেকে বরফ কেড়ে নেয় শনি। আর ওই বরফেই তৈরি হয়েছে বলয়। শুরুর দিকে বলয়টা ছিল এখনকার চেয়ে ১০-১০০ গুণ বেশি পুরু। পরে ওই বরফের বলয়ে মিশে গেছে যৎসামান্য পাথরখণ্ড ও ধূলিকণা। আর ভর কমে আসায় ওই উপগ্রহ প্রবল বেগে শনির গায়ে আছড়ে পড়ে চূর্ণ হয়ে যায়। গবেষণা বলছে, বলয়ের মধ্যে হারানো বরফ থেকে তৈরি হয়েছে আরো অনেক ক্ষুদে উপগ্রহ।

মহাকাশের সবচেয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানী

Monday, January 31, 2011

চ্ছা বলো তো দেখি বিজ্ঞানী হতে গেলে কি থাকতে হয়? নিশ্চয়ই ভাবছো বয়স হতে হবে খুব বেশি। নাকের ডগায় একটা মোটা চশমা ঝুলবে আর চুলগুলো সব ধবধবে সাদা হবে, তাই না?
তবে আসল কথাটি কি জানো, বিজ্ঞানী হতে কোনো বয়স লাগে না। শুধু থাকতে হয় ক্ষুরধার বুদ্ধি। সেটা তো যেকোনো বয়সেই থাকতে পারে তাই না? বিশ্বাস হচ্ছে না? হবেই বা কি করে, কানাডায় ক্যাথরিন নামের এক ১০ বছরের ছোট্ট মেয়ে যে একটা আস্ত সুপারনোভা আবিষ্কার করে ফেলেছে, সে খবর কি রাখো? রাখলে নিশ্চয়ই আমার কথায় একমত হবে তোমরা।

তবে প্রশ্ন করতেই পারো- সুপারনোভা কি? সুপারনোভা কি সে সম্পর্কে জানতে হলে যে আবার মহাকাশের অনেককিছুই জানতে হয়। সেসব তো এক কথায় বলা প্রায় দুঃসাধ্য কাজ। তবুও বলছি, সুপারনোভা হচ্ছে- এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের ফলে একটি নক্ষত্র ধ্বংস হয়ে যায়। এতে কৃষ্ণবিবর যাকে আমরা চিনি ব্ল্যাক হোল নামে। তা তৈরি হতে পারে, আবার নিউট্রন তারাও তৈরি হতে পারে। যাই হোক না কেনো, এটি আসলে মহাকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এমন একটি খটমটে জিনিস ঠিক ঠিক আবিষ্কার করে ফেললো এই ১০ বছরের ক্যাথরিন?

ক্যাথরিনের পুরো নাম হচ্ছে- ক্যাথরিন অরোরা গ্রে। তার বাবা পল গ্রে একজন পুরোদস্তুর মহাকাশ বিজ্ঞানী। বাবার কাজ দেখে দেখেই এই কাজ সম্পর্কে একটা আগ্রহ ক্যাথরিনের তৈরি হয়ে গিয়েছিল। পল তার পেশার কারণেই এর আগে তিনটি সুপারনোভা আবিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু তার মেয়ে ক্যাথরিন তাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে এই সুপারনোভা আবিষ্কারের ফলে। পল তার সহকর্মীকে নিয়ে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। এবং সেই সঙ্গে তুলে রাখছিলেন একের পর এক ফটো। এই টেলিস্কোপে তোলা ছবিগুলোর প্রতি ক্যাথরিনের আগ্রহটাও কম নয়। কাজেই যখন পল এবং তার সহকর্মী ডেভিড যখন কাজের জন্য বাইরে বের হয়েছেন এই সময় ক্যাথরিন তার আগ্রহ থেকেই দেখতে শুরু করে একের পর এক তোলা টেলিস্কোপের ছবিগুলো।

হঠাৎ পর পর দুটো ছবিতে খটকা লাগে ক্যাথরিনের। কারণ দুটি ছবি একই আকাশের দুটি ভিন্ন সময়ে তোলা। কিন্তু প্রথম ছবিতে একটি আলোর বিন্দু দেখা যাচ্ছে, যা পরের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে না। মহাকাশ বিজ্ঞানী বাবার কাছ থেকে তো ছোটোবেলা থেকেই এইসব খুঁটিনাটি বিষয়গুলোর গল্প ক্যাথরিন শুনেছে। কাজেই তার বুঝতে মোটেও সমস্যা হলো না যে এটি একটি সুপারনোভা। তারপর আর কি বাবা বাড়িতে ফেরামাত্র চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ক্যাথরিন জানিয়ে দিলো তার আবিষ্কারের কথা। আর পলও মিলিয়ে দেখলেন যে সত্যিই তাঁর মেয়ে ক্যাথরিন আবিষ্কার করে ফেলেছে একটি নতুন সুপারনোভা। এরপর আরো সব পরীক্ষা নীরিক্ষা করে সব বিজ্ঞানীরাই একমত হলেন যে আসলেই ক্যাথরিন নতুন একটি সুপারনোভা আবিষ্কার করে ফেলেছে। আর এর ফলে ক্যাথরিন বনে গেলো পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদে সুপারনোভা আবিষ্কারক। মহাবিশ্বে সবসময় সুপারনোভা হতে থাকে। কিন্তু তারা খুব কমই আমাদের চোখে পড়ে। সেরকমই একটি বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ক্যাথরিন। আবিষ্কার করে ফেলেছে একটি সুপারনোভা। ওর কি বয়স খুব বেশি হয়েছে? নাকের ডগায় তো চশমাও নেই। চুল তো পাকেনি একটিও। তারপও তো সে আবিষ্কার করেছে সুপারনোভা। এ জন্যই বলছিলাম যে বিজ্ঞানী হতে গেলে থাকতে হয় ক্ষুরধার বুদ্ধি। তা তোমার বয়স যাই হোক না কেন!

দূরতম ছায়াপথরাজি

Friday, January 14, 2011

হাকাশবিজ্ঞানের পরিধি বাড়ছে উল্লেখযোগ্যহারে। আর এতে নবতর সংযোজন হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা এবার মহাকাশে সবচেয়ে দূরের ছায়াপথপুঞ্জের সন্ধান পেয়েছেন। পৃথিবী থেকে কসমস-আজটেক-৩ নামের ওই ছায়াপথপুঞ্জের দূরত্ব মাত্র ১২.৬ বিলিয়ন আলোকবর্ষ! আর এর ভর প্রায় ৪০০ বিলিয়ন, সূর্যের মোট ভরের চেয়েও বেশি!

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আজটেক-৩ এ পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া অন্য পুঞ্জগুলোর তুলনায় বয়সে একেবারেই নবীন। কিছুদিন আগেই আবিষ্কৃত একটি ছায়াপথের বয়স ধরা হয়েছে কয়েক বিলিয়ন বছর। অন্যগুলোর বয়স এর কাছাকাছিই বা এরচেয়ে আরো অনেক বেশি। আর আজটেক-৩-এর
জন্ম খুব বেশি হলে কয়েক শ মিলিয়ন বছর আগে। বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, কয়েক বিলিয়ন বছরে অসংখ্য ছায়াপথের সম্মিলনে একেকটি ছায়াপথপুঞ্জের জন্ম হয়। তুলনামূলকভাবে অনেক আগেভাগেই এর সন্ধান পাওয়ার ফলে এর জন্মরহস্য ও গাঠনিক পরিবর্তনের এমন সব চিত্র পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে সম্ভব হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মহাকাশবিজ্ঞানী পিটার কাপাক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এটি বিবর্তমান। ক্রমান্বয়ে এটি পরিণত হবে। তবে নবীন এ পুঞ্জটির সন্ধান পেয়ে গবেষকদের পক্ষে গোটা প্রক্রিয়ার একেবারে মূলের কিছু চিত্র সম্পর্কে বাস্তব তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে। সূত্র : বিবিসিনিউজঅনলাইন।
 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. News 2 Blog 24 - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু